বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে তৃতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে দুদুক কার্যালয়ে হাজির হন তিনি।এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । এসময় সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা বলেননি । এর আগে একই ঘটনায় গত ৪ ও ৬ ডিসেম্বর দুই দফায় দুদক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৫ সালের শেষ দিকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৭ কর্মকর্তা, ১১ জরিপকারী ও ৮১ ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ ১২৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছেন দুদকের ১০ কর্মকর্তারা। ওই মামলাগুলোতে ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। তবে কোনো মামলাতেই আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদ, ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞ এবং সর্বশেষ আদালত পর্যন্ত সমালোচনা হয়। বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে আদালতের কয়েক দফা পর্যবেক্ষণ আসার পর মামলা তদন্তের জন্য দুদক টিম গত বছরের ৪ ডিসেম্বর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে বাচ্চুকে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালে তার নিয়োগ নবায়নও হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগের তীর উঠলে চাপের মুখে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক তখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ করেছিল, বাচ্চুর নেতৃত্বেই ব্যাংকের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে।