রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন,‘ ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম। এখানে হানাহানি, হিংসা, দ্বেষ বা বিভেদের কোন স্থান নেই।’ পবিত্র আশুরার এই দিনে সাম্য, ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুরার মহান শিক্ষা নিয়ে সব অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আশুরার মহান শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
দিবসটি উপলক্ষে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন মহররম মাসের প্রথম দশ দিন নানা ধরনের শোক-কর্মসূচি পালন করে থাকেন। আশুরার দিনে শোকের আবহে তাজিয়া মিছিল বের করেন তারা। মূলত ইমাম হোসেন (রা.)-এর সমাধির প্রতিকৃতি নিয়ে এই মিছিল বের হয়। আরবি ‘তাজিয়া’ শব্দটি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয়।
হোসেনি দালান ইমাম বাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল আয়োজন প্রসঙ্গে হোসেনি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মো. আসিফ বলেন, ‘আশুরার দিন সকাল সাড়ে ৯টায় তাজিয়া মিছিল বের হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে ইমামবাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল যাত্রা শুরু করবে। মিছিলটি নিউমার্কেট হয়ে ধানমন্ডি লেকে গিয়ে শেষ হবে।
রাজধানীতে আশুরা উপলক্ষে পুরান ঢাকায় হোসেনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল হলেও মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বকশিবাজার, লালবাগ, পল্টন, মগবাজার থেকেও আশুরার মিছিল বের হয়। হাজারও মানুষ এই শোক মিছিলে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতম তুলে অংশ নেয়।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
উল্লেখ্য, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন ইবনে আলী (রা.) হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম কারবালার ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাৎ বরণ করেন। এই শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিমরা আশুরাকে ত্যাগ ও শোকের দিন হিসেবে পালন করে আসছে।