সোমবার (২৭ মার্চ) চতুর্থ দিনে পড়লো সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহল ঘিরে চলমান জঙ্গি বিরোধী অভিযান। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহল’ ঘিরে প্যারা-কমান্ডো ও সোয়াট সদস্যদের তৎপরতা বেড়েছে কয়েকগুণ। সকাল থেকেই ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া যাচ্ছে গুলি-বিস্ফোরণের আওয়াজ। তবে কমান্ডোরা অভিযান দ্রুত শেষ করতে চায় বলে জানা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে।
রোববার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ফের বিস্ফোরণ আর থেমে থেমে গুলির শব্দে প্রকম্পিত হচ্ছে সিলেটের শিববাড়ি এলাকা। সকালের দিকে গুলি বিস্ফোরণের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। সূত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী আজই জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হবে। সারাদিনই চলবে দেয়াল ভাঙ্গা ও জঙ্গি নির্মূলের কাজ। তবে চূড়ান্তভাবে বিকেলের পর সেনাসদস্যরা সেখানে প্রবেশ করে পারে।
এদিকে অভিযানকে কেন্দ্র করে আগের দিনের জারি করা ১৪৪ ধারা এখনও বহাল আছে শিববাড়ি এলাকাকে ঘিরে তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকায়। আজও বন্ধ আছে সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ রোড। হুমায়ুন রশীদ চত্বরের পর এ সড়কে আর কাউকে এগুতে দেয়া হচ্ছে না।
এর আগে রোববার বিকেলের আনুষ্ঠানিক বিফ্রিংয়ের পর সন্ধ্যার মধ্যেই মিডিয়াকর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয় শিববাড়ির তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকার বাইরে। ১৪৪ ধারার আওতায় থাকা এ এলাকার বাসিন্দাদেরও আর বাড়ির বাইরে যেতে দেয়নি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জীবিকার টানে সকালে ঘরের বাহির হয়েছিলেন যারা তারাও ফিরতে পারেননি বাড়িতে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই প্যারা-কমান্ডো ও সোয়াট সদস্যদের ঘিরে রাখা ‘আতিয়া মহল’ এর বাড়ি থেকে রাত সোয়া ১১টায় ভেসে আসে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ। এর ৩০ মিনিট পরেই শোনা যায় ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলির শব্দ। এরপর থেমে গেলেও রাত আড়াইটা থেকে শুরু হয় ফের গোলাগুলি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সকাল সাড়ে সাতটা থেকে একটানা গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৪ মার্চ) ভোরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকায় আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানার খবর পেয়ে অভিযান চালায় অাইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। এরপর থেকেই প্রথমে বাড়িটি এবং পরে পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়। জঙ্গিদের আটক এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় অপারেশন টোয়ালাইট।শনিবার সন্ধ্যায় দু’দফা বোমা বিস্ফোরণে ২ পুলিশসহ ৬ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হয়েছেন সাংবাদিক, পুলিশ ও র্যাব সদস্যসহ ৩২ জন।