বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিবের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৮-২০১৯ সেশনের নির্বাচনে ভরাডুবির কারণেই তার এই সিদ্ধান্ত। রবিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের কাছে এই পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে মনোনীত প্রার্থীরা জয়যুক্ত না হওয়ায় ব্যর্থতার দায় নিজের মনে করে সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৮-২০১৯ সেশনের নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে ১০টি পদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবাদে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বিএনপি সমর্থিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের নীল প্যানেল। এই নির্বাচনে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের সাদা প্যানেল।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৮-২০১৯ সেশনের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ৫৪ ভোট বেশি পেয়ে আবারও বিজয়ী হন। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ২ হাজার ৩৬৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৩১৫টি।
এদিকে সম্পাদক পদে ৪৪১ ভোট বেশি পেয়ে টানা ষষ্ঠবারের মতো বিজয়ী হন নীল প্যানেলের ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাদা প্যানেলের অ্যাডভোকেট এস কে মো. মোরসেদ।
এছাড়া বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে ড. মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া ও এম. গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার, সহ-সম্পাদক কাজী জয়নুল আবেদীন, সদস্য পদে মাহফুজ বিন ইউসুফ, সাইফুর আলম মাহমুদ, মো. আহসান উল্লাহ ও মোহাম্মদ মেহদী হাসান বিজয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে সাদা প্যানেল থেকে সহ-সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, সদস্য ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদী, শাহানা পারভীন ও শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া জিতেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মোট ১৪টি পদে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয় দুই দিন (২১ ও ২২ মার্চ)। ১৪টি পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩৩ জন প্রার্থী। আর ভোটার ছিলেন ৬ হাজার ১৫২ জন আইনজীবী। তাদের মধ্যে মোট ৪ হাজার ৮৬৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।