শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ই বৈশাখ ১৪৩১
Smoking
 
শ্রীলঙ্কা ২২২ রানে গুটিয়ে গেল
প্রকাশ: ০৩:০৮ pm ০৮-০২-২০১৮ হালনাগাদ: ০৩:১২ pm ০৮-০২-২০১৮
 
 
 


 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে প্রথমে বোলিং করছে বাংলাদেশ।

স্কোর: শ্রীলঙ্কা ২২২/১০ (৬৫.৩ ওভারে)। 

রোশন সিলভার হাফ সেঞ্চুরি:  শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করছেন রোশন সিলভা। ৬৩তম ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। চট্টগ্রাম টেস্টে রোশন ১০৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। ১১২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় মাইলফলক ছুঁয়েছেন রোশন। 

হেরাথ সাজঘরের পথ দেখালেন মুস্তাফিজ: ঠিক একই বল, ঠিক একই ধরণের আউট। তবে বলটি বাউন্স পেল আগেরটির থেকে বেশি। চা-বিরতির আগে আকেলা ধনাঞ্জয়কে মুস্তাফিজ যেভাবে আউট করেছিলেন ঠিক একভাবে আউট করেন রঙ্গনা হেরাথকে। কভারে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ধরেন সেই মুশফিক। ২ রান আসে হেরাথের ব্যাট থেকে। তার আউটের সময় শ্রীলঙ্কার রান ২০৭।   

শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ: স্পিনারদের দারুণ বোলিংয়ে  শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। চা-বিরতির আগেই সফরকারীদের ৮ উইকেট তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথম দিনের লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে মাহমুদউল্লাহর দল। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৪ উইকেট  হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় সেশনে ১০৫ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা।  

মুস্তাফিজের প্রথম উইকেট: ভালো বোলিং করেও পাচ্ছিলেন না উইকেট। একবার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সাব্বির স্লিপে ক্যাচ ছাড়ায় উইকেটের স্বাদ পাওয়া হয়নি মুস্তাফিজের। অবশেষে নবম ওভারের প্রথম বলে মুস্তাফিজ পেলেন কাঙ্খিত উইকেট। আকেলা ধনাঞ্জয়া মুস্তাফিজের স্লোয়ারে ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মুশফিকের হাতে। সহজ ক্যাচ একটু কঠিন করে তালুবন্দি করেন মুশফিক। ২০ রান করেন আকেলা ধনাঞ্জয়া।  

জুটি ভাঙলেন তাইজুল: এবার আর শেষ রক্ষা হল না দিলরুয়ান পেরেরার। এর আগে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে সাব্বির রহমান সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করলে বেঁচে যান পেরেরা। তবে ইনিংসের ৪৯ ওভারে তাইজুলের শিকার হন পেরেরা। তাইজুলের বলে মুমিনুলের হাতে ধরা পড়ে ব্যক্তিগত ৩১ রানে সাজঘরে ফেরেন পেরেরা। ফলে রোশন সিলভার সঙ্গে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৫২ রানের জুটি ভাঙে।

তাইজুলকে ফেরালেন ডিকভেলা: মধ্যাহ্নভোজ বিরতির ঠিক পরের সময়টা দারুণ হয়ে ধরা দিল বাংলাদেশের কাছে। প্রথম ওভারে রাজ্জাকের আঘাতের পর দ্বিতীয় ওভারে উইকেট পেলেন তাইজুল। এ সময় নিরোশান ডিকভেলাকে বোল্ড করেন তাইজুল ইসলাম। তার বল বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ডিকভেলা। তাইজুলের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১ রানে ফিরে যান ডিকভেলা।

থিতু হওয়া মেন্ডিসকে ফেরালেন রাজ্জাক: লাঞ্চের পর নিজের প্রথম ওভারেই লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানলেন রাজ্জাক। ওপেনিংয়ে নেমে ক্রিজে থিতু হয়ে থাকা বিপদজনক কুশল মেন্ডিসকে ফেরালেন তিনি। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে মেন্ডিস কাটা সরালেন রাজ্জাক। মেন্ডিস জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে ফিরে যান বোল্ড হয়ে। রাজ্জাকের চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে ৯৭ বলে ৬৮ রান করেন মেন্ডিস।

রাজ্জাকের বলে বোল্ড চান্দিমাল: প্রথম বলে গুনাথিলাকার পর দ্বিতীয় বলে দিনেশ চান্দিমালকে সরাসরি বোল্ড করেন রাজ্জাক। লঙ্কান অধিনায়কে শূন্য রাজে সাজঘরে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। তবে রাজ্জাকের ব্যাক-টু ব্যাক আঘাতে ৪ উইকেটে স্বস্তি নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের গেছে বাংলাদেশ।

প্রতিরোধ ভাঙলেন রাজ্জাক: নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসেই উইকেট পেলেন রাজ্জাক। ইনিংসের ২৮তম ওভারের প্রথম বলে গুনাথিলাকাকে ফেরালেন তিনি। রাজ্জাকের বল উড়িয়ে খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন গুনাথিলাকা। রাজ্জাকের বলে মিডঅফে চমৎকার এক ক্যাচে ব্যাক্তিগত ১৩ রানে গুনাথিলাকাকে ফেরান মুশফিক।

মেন্ডিসের ফিফটি: ওপেনিংয়ে নেমে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে একাই টানছেন কুশল মেন্ডিস।তাইজুল ইসলামের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেছেন তিনি। টেস্টে এটি তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি। হাফ- সেঞ্চুরি করতে ৮১ বল খেলেছেন মেন্ডিস। ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ফিফটিতে পৌঁছেছেন তিনি।

ডি সিলভাকে ফেরালেন তাইজুল: রাজ্জাকের পর লঙ্কান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানলেন আরেক ওপেনার তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের ১৬তম ওভারে তাইজুলের করা তৃতীয় বলে ফেরেন ডি সিলভা। তাইজুলের লেন্থ বল ডি সিলভার ব্যাটের কাঁনা ছুঁয়ে স্লিপে থাকা সাব্বিরের হাতে জমা হলে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় সফরকারীদের।ব্যক্তিগত ১৯ রানে সাজঘরে ফিরেছেন ডি সিলভা।

 

 

শুরুতেই রাজ্জাকের আঘাত: দীর্ঘ চার বছর পর টেস্ট একাদশে জায়গা পেয়ে উইকেট পেলেন রাজ্জাক। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে রাজ্জাকের বল এগিয়ে মারতে এসে আসেন করুনারত্নে।  ব্যাটে-বলে সংযোগ না হওয়া বল উইকেটের পিছনে চলে যায়। এ সময় উইকেটরক্ষক লিটন দাস বল ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে দিলে ব্যক্তিগত ৩ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় করুনারত্নেকে।

দুই প্রান্তে দুই স্পিনার: তিন স্পিনার ও এক পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। শুরুতেই যে স্পিনার বোলিংয়ে আসবে তা ছিল প্রত্যাশিত। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ চমকে দেন সবাইকে। নতুন বলে দুই প্রান্ত থেকে দুই স্পিনার নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ করেন প্রথম ওভার। দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করেন আব্দুর রাজ্জাক।  

টস: টস জিতে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন

বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন: মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং সানজামুল ইসলামকে বাদ দেওয়া হয়েছে ঢাকা টেস্ট থেকে। চট্টগ্রাম টেস্টে খেলেছিলেন তারা। তাদের পরিবর্তে দলে এসেছেন সাব্বির রহমান ও আব্দুর রাজ্জাক।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, ‍মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাশ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, মুস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা দলেও পরিবর্তন দুটি: বাংলাদেশের মতো শ্রীলঙ্কা দলেও দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্পিনার লাকশান সান্দাকানের জায়গায় এসেছেন আকেলা ধনাঞ্জয়া। ব্যাটসম্যান বাড়িয়ে বোলার কমিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দলে নেওয়া হয়েছে ব্যাটসম্যান দানুশকা গুনাথিলাকাকে। পেসার লাহিরু কুমারাকে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছে।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: দিমুথ করুনারত্নে, কুশল মেন্ডিস, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, রোশন সিলভা, দিনেশ চান্দিমাল, নিরোশান ডিকাভেলা, দানুশকা গুনাথিলাকা, দিলরুয়ান পেরেরা, আকেলা ধনাঞ্জয়া, রঙ্গনা হেরাথ, সুরঙ্গা লাকমাল। 

ফিরলেন রাজ্জাক: ২০১৪ সালে আব্দুর রাজ্জাক শেষ টেস্ট খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। চার বছর পর সেই রাজ্জাক আবারও ফিরলেন জাতীয় দলে, সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই। ১২ টেস্টে ২৩ উইকেট পাওয়া রাজ্জাক জাতীয় দলে দীর্ঘদিন পর ফিরেছেন। এ সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলে গেছেন ৩৫ বছর বয়সি এ ক্রিকেটার। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়েছেন পাঁচশ উইকেট। দলে সাকিব নেই। অভিজ্ঞ রাজ্জাকই তাই ভরসা।

ফল পেতে চায় দুই দল: চট্টগ্রামে দুই দলের প্রথম টেস্ট থেকেছে অমীমাংসিত। ঢাকা টেস্টে ফল পেতে প্রত্যয়ী দুই দল। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল ও বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুজনই বলেছেন, ঢাকা টেস্টে বের হবে ফল।’ ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ২০১৪ সালের পর জিতেনি কোনো টেস্ট সিরিজ। শেষবার জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিল ৩-০ ব্যবধানে। এবার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তিন বছরের আক্ষেপ দূর করতে চায় বাংলাদেশ।

হেরাথের প্রয়োজন চার উইকেট: মাত্র ৪ উইকেট পেলেই টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম বাঁহাতি বোলার (উইকেট সংখায়) হয়ে যাবেন শ্রীলঙ্কান স্পিনার। যেটি এখন পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামের দখলে। পাকিস্তানের প্রাক্তন বাঁহাতি পেসার ১০৪ টেস্টে নিয়েছিলেন ৪১৪ উইকেট। ৮৮ টেস্টে ৪১১ উইকেট হেরাথের।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT