‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ হিসেবে যাত্রা করলো কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ ঘোষণা করেন।
এ কার্যক্রমের উদ্যোক্তা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম। তারা বলছে, এটি বাস্তবায়িত হলে শহরে ভালো চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সহায়তা পাবেন স্থানীয়রা।
সংস্থাটির বাংলাদেশ মিশনের প্রধান শরৎ দাস জানান, মূলত উচ্চগতির ইন্টারনেটের মাধ্যমে দ্বীপের মানুষের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করবেন তারা।
তিনি বলেন, “দ্বীপগুলোতে সুযোগ সুবিধা খুব কম, আর সে কারণে মহেশখালীতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষকে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ই-কমার্স এ তিনটি খাতে বিশেষভাবে দ্বীপবাসীকে সহায়তা করা হবে।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক স্কুল আছে, কিন্তু দ্বীপ হওয়ায় যোগ্যতা সম্পন্ন লোকজন যেতে চায় না। তাই সেখানে সেবার মান বাড়ানো হবে। যেমন, ভালো মানের শিক্ষক নেই। এখন শহরের ভালো শিক্ষকদের দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হবে।”
সেখানে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে মা ও শিশু মৃত্যুর হার একটু বেশি। কারণ, ভালো চিকিৎসক যেতে চায় না।”
তিনি জানান, এখন শহর থেকে চিকিৎসকরা ওখানকার রোগীদের রিপোর্ট দেখে সহায়তা দিতে পারবেন।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ধরনের পরিকল্পনা কোরিয়াতে সফল হয়েছে। এখন বাংলাদেশে সেটিই প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মহেশখালী থেকে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে আর অবৈধ অভিভাসন বন্ধের প্রযুক্তিগত সহায়তা নেয়া যাবে বলে আইওএম সেখানে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।