শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ই চৈত্র ১৪৩০
Smoking
 
রংপুরে ছাত্রলীগ-এলাকাবাসী সংঘর্ষ : আহত ২০
প্রকাশ: ০১:০০ am ০৫-০৩-২০১৭ হালনাগাদ: ১০:১৮ am ০৫-০৩-২০১৭
 
 
 


রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

শনিবার বিকেল থেকে এই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত তা চলছিল। এ সময় ঢাকা-রংপুর ও লালমনিরহাট রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে শত শত মানুষ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

এর আগে সকালে বেরোবির সামনে দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বেরোবি ছাত্রলীগ শাখা স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। বিষয়টি তদন্তের জন্য কেন্দ্র থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।

শনিবার সকালে চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে বিক্ষোভ করে। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী পৃথকভাবে একজোট হতে থাকে। কিছুক্ষণ পর তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ সময় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। আহতদের বেশ কয়েকজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

বেরোবির প্রক্টর মীর তামান্না সিদ্দিক সংঘর্ষের বিষযটি স্বীকার করে বলেন, ‘এখন ব্যস্ত আছি। আপাতত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’

কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ বি এম জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দাবি করেন, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, সকালে পার্কের মোড় দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক ও লিফা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড কনফেকশনারির মালিক মাজেদুল ইসলাম লাবলুর দোকানে এসে চাঁদা দাবি করেন বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি শিশিরসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ছাত্রলীগ তার দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর ও মালামাল তছনছ করে। এই ভাঙচুরের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ সমাবেশ করে দায়ীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

বিকেলে ব্যবসায়ী-এলাকবাসী ও বেরোবির ছাত্রলীগ-সাধারণ  শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে যায়। পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে দুই পক্ষই। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এদিকে চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি শিশির। তিনি বলেন, ‘আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে একজন সাধারণ ছাত্রের কথা কাটাকাটি হয়েছে। এরই জের ধরে ওই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এখানে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT