বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
Smoking
 
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে সিডিএ
প্রকাশ: ১০:২১ am ১২-০৮-২০১৭ হালনাগাদ: ১০:২৭ am ১২-০৮-২০১৭
 
 
 


বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রকল্পের আওতায় আরএস শিট অনুযায়ী উদ্ধার হবে হারিয়ে যাওয়া এবং বেদখল হওয়া নগরীর ৩৬টি খাল। সে ক্ষেত্রে খালগুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অনুমোদিত স্থাপনার ক্ষতিপূরণ প্রদান, খালের উভয় পাশে ১৫ ফুট চওড়া রোড ও খালের মুখে ৫টি স্লুইস গেট বসানো, সিল্ট ট্র্যাপ ও জলাধার নির্মাণ এবং খাল খননের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হবে ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে। গত বুধবার সিডিএ’র প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। প্রকল্পের পটভূমিতে বলা হয়েছে, ৮০ লাখ মানুষের চট্টগ্রাম শহরে পানি ও বর্জ্য নিষ্কাশন হয় ৫৭টি খাল দিয়ে। কিন্তু অবৈধ দখল, ভরাট আর বর্জ্যে বোঝাই এসব খাল বৃষ্টি হলেই আর পানি সরাতে পারে না। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর এই জলাবদ্ধতা এবং নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম সকালের খবরকে বলেন, স্থান বিশেষে আরএস ও বিএসের মধ্যে যেটিতে খালের চওড়া বেশি পাওয়া যাবে সেটিকেই বেছে নেওয়া হবে। প্রকল্পের আওতায় নগরীর প্রধান ৩৬টি খালে এই কার্যক্রম করা হবে। আরএসে খাল ছিল, বিএস শিটে সমভূমি হয়ে যাওয়ায় এমন অনেক জায়গা সিডিএ’র অনুমোদন নিয়ে বহু ভবন গড়ে উঠেছে। সেসব ভবনের কী হবে জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, সিডিএ’র অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী যদি কোনো ভবন গড়ে ওঠে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে তা ভাঙা পড়ে, তাহলে সেসব ভবনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী গড়তে এর বিকল্প নেই।

সিটি করপোরেশন থেকে বলা হচ্ছে, প্রকল্প চলাকালে খালের মেইনটেন্যান্স তারা করবে না। এক্ষেত্রে আগামী তিন বছর নগরীর অবস্থা কী হবে-এমন প্রশ্ন করা হলে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, প্রকল্প চলাকালে মেইনটেন্যান্সও সিডিএ করবে। আর আগামী বছরের মধ্যেই দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু এলাকা বেছে নেওয়া হবে। সমন্বয় বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সবার সঙ্গে পরামর্শ করে সবার সহযোগিতা নিয়ে করা হবে। তাই সমন্বয়হীনতার কোনো প্রশ্ন নেই। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের মূল দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। মেগা প্রকল্প প্রসঙ্গে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জানিয়েছেন, বড় কাজ। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন একটি চ্যালেঞ্জও। কিন্তু সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করলে এর থেকে আরও বড় সমস্যার সুরাহা হয়। সমন্বয়ের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ভারি বৃষ্টিতে নগরীর অন্যতম মাথাব্যথার কারণ জলাবদ্ধতা নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন। যেখানেই বসার দরকার হয়, যেভাবেই দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় সেভাবেই সাড়া দেবে সিটি করপোরেশন। আমার শুধু একটি চাওয়া। জলাবদ্ধতা সমস্যামুক্ত হোক আমাদের সবার প্রাণের এ নগরী। জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শহরের ভেতর ও বাইরের (চাক্তাই খাল, রাজা খাল, মহেশ খাল, মীর্জা খালসহ) ৩৬টি খাল পুনঃখনন করা হবে। মেগা প্রকল্পের ডিপিপি চেয়ে চসিকের চিঠি : জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫৬১৬ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পে সমন্বয়ের লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনার (ডিপিপি) একটি কপি চেয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। গত বুধবার একনেকে প্রকল্প অনুমোদন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমন্বয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার চসিক এ চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT