বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নামক শিক্ষক জোট। ১৬ অক্টোবর সোমবার দুপুরে উপাচার্যের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আয়োজিত এক মানববন্ধনে শিক্ষকরা উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ও প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় এবং মানববন্ধন শেষে ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষকরা।
এসময় শিক্ষকরা ভিসির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার দাবি করেন। মনববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে এতে অংশ গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, ৮ম জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী সকল ধরনের ডেপুটেশন ভাতা বাতিল করা পরও ভিসি প্রতি মাসে নিয়মিত ১৫ হাজার টাকা করে ডেপুটেশন ভাতা/ উপাচার্য ভাতা নেন। বক্তারা বলেন, অবৈধ ভাবে উত্তোলিত এ সব টাকা ভিসিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফেরত দিতে হবে। ভিসিকে আর কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলেও মানববন্ধনে ঘোষণা দেন শিক্ষকরা ।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের উপস্থাপনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আবু তাহের, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দিকী, দুর্নীতির বিরুদ্ধে গঠিত নতুন জোটের মুখপাত্র এনএম রবিউল আউয়াল চৌধুরীসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ও পরিবহন কর্মচারী ইউনিয়নের আহবায়ক নজরুল ইসলাম প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি দুর্নীতি করেছে ও অবৈধ ভাবে সরকারি অর্থ আত্মসাত্ করেছে এমন অভিযোগ তুলে সে টাকা বিশ্ববিদ্য্যালয়ের তহবিলে ফেরতসহ অন্যান্য অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিপীড়নমূলক কার্যক্রমের বিচারের দাবিতে রবিবার রাতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী স্বাক্ষারিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্যের নানা অনিয়ম, বিভিন্ন সময়ে উপচার্য পন্থী শিক্ষকদের হাতে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার বিচারসহ বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। এদিকে গত দুদিন ধরে নিজ কার্যালয়ে আসেননি উপাচার্য।
সকল অভিযোগের বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘তাঁদের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাঁদের কাছে যদি কোনো প্রমাণাধি থাকে তাহলে তাঁরা তা পেশ করুক বা উপর মহলে যোগাযোগ করুক।