বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
Smoking
 
এবার বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ
প্রকাশ: ১২:৪৪ pm ১২-১০-২০১৭ হালনাগাদ: ১২:৪৫ pm ১২-১০-২০১৭
 
 
 


কাঁচা মরিচের পর এবার বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত দুই দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

কোরবানির ঈদের আগে দাম বাড়লেও তা কমে যায়। তবে গত এক মাসের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে আবারও বাড়ল পেঁয়াজের দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের কৃষকদের ঘরে এখন আর দেশি পেঁয়াজের তেমন মজুদ নেই। ফলে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। ভারতে গত এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে। মূলত এ কারণে আমাদের দেশের বাজারেও দাম বেড়েছে।

ঢাকার পাইকারি বাজার শ্যামবাজারের কৃষিপণ্যের ব্যবসায়ী ও পেঁয়াজ আমদানিকারক মো. মাজেদ জানান, ভারতে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা ছাড়িয়েছে। এর সঙ্গে পরিবহন ব্যয়সহ অন্য খরচ যোগ করলে ৪৫ টাকা পড়ে। ফলে প্রতিকেজি দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। যা আগে ৩০ থেকে ৩২ টাকা ছিল।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই বেড়েছে। টিসিবির বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী এক মাসে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ এবং সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

দেশে বছরে ২২ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন দেশে উৎপাদিত হয়। বাকিটা মূলত ভারত থেকে আমদানি হয়। ভারতে দমি বেশি থাকলে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির অযুহাতে দাম বৃদ্ধির রেকর্ড ছাড়ায় কাঁচা মরিচ। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকাও বিক্রি হয়।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT